মোবাইল দিয়ে ড্রপশিপিং করে মাসে আয় করুন হাজার ডলার ।

আপনি কি একজন সফল ড্রপশিপার হিসাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য এই ব্লগের মাধ্যমে শিখতে পারবেন ড্রপশিপিং কি ও কিভাবে করতে হয় এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা । ২০০৬ সাল থেকে আলিএক্সপ্রেস , এমাজন এবং ইবে তারা ড্রপশিপিং মার্কেটপ্লেস দিয়ে পণ্য বিক্রি করে নিচ্ছে বিভিন্ন স্লপায়ার থেকে । আজকে আমরা ড্রপশিপিং ও নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো কিভাবে এটি পরিচালনা করতে হয়

 

ড্রপশিপিং কি

ড্রপশিপিং হলো এমন একটি ব্যাবসা যা খুচরা ব্যাবসায়ীকে কোন ধরনের পণ্য সংরক্ষন করতে হয় না বরং সে যখন অর্ডার পাবে সেটি সে সাপ্লায়ার থেকে নিয়ে কাস্টমারের কাছে বিক্রি করবে এবং সাপ্লায়ার খুচরা বিক্রেতার জন্য পণ্য সংরক্ষন করে রাখবে এটি হলো ড্রপশিপিং ।

ড্রপশিপার বিজনেস খুবই লাভজনক  যার জন্য খুচরা বিক্রেতাকে কোন স্টোর ভাড়া নিতে হয় না এবং পকোন ধরনের পণ্য স্টোক করতে হয় না যার ফলে যার অতিরিক্ত টাকার দরকার হয়ে থাকে না । যখন যে পণ্যের অর্ডার আসবে তখন সেটি সাপ্লায়ার থেকে অর্ডার দিয়ে কিনে সেটি গ্রাহকের কাছে পৌছে দিবে যার ফলে শুধু মাত্র কয়েকটি পণ্য কেনার জন্য কিছু অর্থ থাকলেই হবে ।

মোবাইল দিয়ে ড্রপশিপিং করে ইনকাম

অনেকে প্রশ্ন করে থাকে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় তাদের কে বলছি হ্যা করা যায় তবে নিদিষ্ট কিছু কাজ যেমন ড্রপশিপার এর কাজ আপনি চাইলে তাহের স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারবেন । আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা শুধু মাত্র মোবাইল ফোন দিয়ে কাজ করে মাসে হাজার ডলার পযন্ত বিক্রি করতেছে যার ফলে দেখা যাচ্ছে চাইলে আপনি ও মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন তবে তার ধয্য লাগবে আপনি সহজে সফল হতে পারবেন না ।

মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে খেলায় রাখতে হবে সেটি হলো মোবাইলের কার্যক্ষমতা নিয়ে যদি ভালো মানের মোবাইল দিয়ে ড্রাপশিপিং করতে না যান তাহলে আপনি ঝড়ে যাবেন ।

 

কোন কোন মার্কেটপ্লেসে ড্রপশিপিং করা যায়

পৃথিবির অনেক ইন্টারন্যাশন্যাল অয়েবসাইট আছে যেখানে ঘরে বসে পণ্য বিক্রি করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় এর জন্য আপনাকে কোন ধরনের পণ্য স্টক করতে হবে না বা পণ্য নিয়ে ঝামেলার মধ্যে যেতে হবে না । আপনি যদি পণ্য বিক্রি করতে পারেন তাহলে অনেকে আছে যারা আপনার অনলাইন স্টোরে পন্য দিয়ে বিক্রি করে নিতে চাইবে । দেশের বাহিরে অনেক ই কর্মাস মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে সফলতার সাথে পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে আপনি ও করতে পারবেন নিম্নে কিছু মার্কেটপ্লেসের নাম দেওয়া হলো

উপরের দেওয়া কয়েকটি সাইটে আপনি ড্রপশিপার হিসাবে কাজ করতে পারবেন যার জন্য আপনাকে কোন ধরনের ঝামেলা পোহাতে হবে অনায়াসে ইনকাম করতে পারবেন যদি তারা উক্ত মার্কেটপ্লেসের নিয়মনীতি মেনে চলেন ।

বাংলাদেশ থেকে ড্রপশিপিং করা যাবে

আপনি চাইলে যেকোন দেশ থেকে ড্রপশিপিং করতে পারবেন যেকোন দেশকে টার্গেট করে এরজন্য আপনাকে সে দেশের মার্কেট রির্সাচ করতে হবে এবং জানতে হবে কোন প্রডাক্ট এর চাহিদা আছে বাজারে সে সম্পকে জেনে নিয়ে সেটি নিয়ে বাংলাদেশ থেকে আপনি ড্রপশিপার হিসাবে কাজ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে আপনি যেসকল কান্ট্রিকে টার্গেট করে প্রডাক্ট লিস্টিং করতে পারেন তা হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ইতালি জার্মানি, ফ্রান্স ইত্যাদি দেশ। এই সকল দেশে যদি আপনি পণ্য বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি ভালো পরিমান প্রফিট অর্জন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ ড্রপশিপিং করতে হলে আপনাকে যেকোন একটি মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করতে হবে এবং একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে পণ্য আপলোড করতে হবে। বেশি বিক্রির জন্য প্রডাক্টের জন্য বেশি শেয়ার করতে হবে এবং রেভিনিউ জেনারেট করতে হবে।

আপনি যদি দেশের বাহিরে ড্রপশিপিং করতে না পারেন তাহলে আমাদের দেশে ও করতে পারবেন। এরজন্য বাংলাদেশী মার্কেটপ্লেস টার্গেট করে পণ্য সিলেক্ট করতে হবে এবং সেটির প্রচার করতে হবে।

বাংলাদেশের প্রডাক্ট সোসিং হিসাবে বিডিশপ কে বেছে নিতে পারেন কারণ বাংলাদেশের মধ্যে বিডিশপ একমাত্র ড্রপশপারদের জন্য মার্কেটপ্লেস তৈরি করেছে।

মোবাইল দিয়ে কোন কোন মার্কেটপ্লেসে ড্রপশিপিং করা যায়

মোবাইল দিয়ে যদি ড্রপশিপার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে চান তাহলে আপনি ইবে তে কাজ করতে পারবেন। যার জন্য আপনি সেখানে একাউন্ট করতে হবে। ইবে তে একাউন্ট করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম আছে যেটি করতে পারলে সেখানে সেলার একাউন্ট করতে পারবেন। ইবে একাউন্ট করার জন্য যা যা দরকার তা নিম্নে দেওয়া হলো
একটি এড্রেস ভেরিফাই করা পেওনিয়ার একাউন্ট
একটি ইন্টারন্যাশনাল ভিসা বা মাস্টার কার্ড
একটি স্মার্ট কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট
এই কয়েকটি ডকুমেন্টস থাকতে ভেরিফাই ইবে সেলার একাউন্ট করতে পারবেন।

ইবে সেলার একাউন্ট করার নিয়ম
ইবে একাউন্ট করার জন্য প্রথমে গুগলে সার্চ করতে হবে ইবে সেলার একাউন্ট সেখানে সেলার একাউন্ট ওয়েবসাইট চলে আসবে এবং সেখানে আপনি ক প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেটি দিতে হবে এবং সেই প্রডাক্ট নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে কোথা থেকে প্রডাক্ট শিপিং করতে চাচ্ছেন এবং কত টাকা মূল্য ও তার কোয়ালিটি এটা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে

পরের ধাপে পেওনিয়ার একাউন্ট লিংক করতে হবে যেখানে আপনার ঠিকানা যাচাই করা হবে পেওনিয়ার এড্রেস ভেরিফাই করার মাধ্যমে যদি আগে থেকে করা থাকে তাহলে একাউন্ট সাথে সাথে একটিভ হয়ে যাবে।

পরবর্তী ধাপে আপনার একটি ইন্টারন্যাশনাল কার্ড এড করতে হবে এর পরে আপনার সকল তথ্য ঠিক থাকলে একাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে।

 

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার নিয়ম

 

 

Leave a Comment